আমাদের সম্পর্কে

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল একটি অলাভজনক এবং জনহিতকর সংস্থা, সিডব্লিউসিএইচ ট্রাস্টের একটি উদ্যোগ। ২০০২ সালে , বিশিষ্ট বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং পেশাদারদের একটি দল সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা অনভুব করেন। এই লক্ষে তারা ন্যূনতম খরচে নারী ও শিশুদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রদানের কল্পনা করেন। ২০০৪ সালে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও, পরবর্তীতে এটি বৃহত্তর স্বাস্থ্যসেবা চাহিদা মেটাতে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত হয়। ২০২২ সালে নারী ও শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে , এর পরিষেবা এবং মিশনকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করার লক্ষে এর নামকরণ করা হয়েছিল AWCH।

আশুলিয়ায় ৩.৭৬ একর জায়গায় অবস্থিত, এডব্লিউসিএইচ একটি আট তলা বিল্ডিং যা ২৫০,০০০ বগফুট জায়গা নিয়ে নির্মিত । হাসপাতাল রোগী, দর্শনার্থী এবং চিকিৎসা কর্মীদের জন্য একটি কার্যকরী এবং আকর্ষণীয় পরিবেশ প্রদান করে। চারপাশের সবজু এলাকা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে । ২০০৪ সাল থেকে এডব্লিউসিএইচ চালু আছে এবং সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা বহির্বিভাগের রোগীদের সেবা প্রদান করে । ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ১২ টি আইসিইউ, ৮ টি এইচডি ইউ, ১২ টি এনআইসিইউ এবং নিউনাটোলজি রয়েছে। সিনিয়র পরামর্শদাতা সহ ১০০ টিরও বেশি চিকিৎসক ব্যাপক যত্ন নিশ্চিত করেন। এডব্লিউসিএইচ একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার, ডায়াগনস্টিক ল্যাব, ইমার্জেন্সি উইং এবং আরও অনেক কিছুসহ আধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত, ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে।

মিশন

স্থানীয় জনসাধারণ বিশেষভাবে সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের অল্প খরচে আন্তরিকতার সাথে উন্নত সেবা প্রদান করা।
আরো দেখুন

ভিশন

  • সহানুভূতিশীল চিকিৎসকদের দ্বারা নারী ও শিশুদের জন্য একটি জনহিতকর এবং অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
  • গবেষণার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের চিকিৎসার প্রাধান্য নিশ্চিত করা।
  • সকল স্তরে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকলের প্রশিক্ষণ চলমান রাখা।
  • শিশু ও প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ, নার্সিং কলেজ এবং মেডিকেল কলেজের জন্য স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা।
আরো দেখুন

মূল্যবোধ

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে কর্মরত সকলে নিম্মলিখিত মূল্যবোধ ধারন করতে বদ্ধপরিকরঃ
  • সম্মান
  • বিশুদ্ধতা
  • আন্তরিকতা
  • মানবিকতা
  • নৈতিকতা
  • স্বচ্ছতা
আরো দেখুন
সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের বাণী

অধ্যাপক ডা: এম কিউ-কে তালুকদার

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মত নিম্ন আয়ের দেশসমূহে অধিক মাত্রায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের কথা মাথায় রেখে কয়েকজন মহৎ উদ্দ্যোক্তা এবং চিকিৎসক ২০০২ সালে একটি অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র (CWCH) নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নেন। গত ২০ বছরে মাতৃ মৃত্যুর হার যা ২০০২ সালে প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মে ৪০১ জন ছিল, তা ২০২১ সালে প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মে ৮৭ তে নেমে এসেছে। একইভাবে ৫ বছরের নীচে শিশু মৃত্যু হার যা ২০০১ সালে প্রতি ১০০০ জীবিত জন্মে ৮১ জন ছিল, ধারনা করা হচ্ছে তা ২০২১ এ প্রতি ১০০০ জীবিত জন্মে ২২ এ এসে দাড়িয়েছে।

আমাদের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সার্বিক স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন সাধন। সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সাথে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির সমস্যা সমাধান করতে আমাদের প্রতিষ্ঠান নিবেদিত।

আমাদের প্রায় শতাধিক চিকিৎসক প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৯০০ জন রোগীকে বহিঃবিভাগে সেবা দেন, যাদের মধ্যে বেশীর ভাগই গার্মেন্টস কর্মী। ক্লিনিক্যাল সার্ভিস দেয়ার পাশাপাশি CWCH স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নতিকল্পে স্বোচ্চার। এ হাসপাতালের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল শিশুদের জন্মের পরপরই মায়ের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করা। আমরা মনে করি এটা করলে শিশু মূত্যু এবং অসংক্রামক ব্যাধি যা বর্তমানে বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারন করছে তা কমানো যাবে।

এখানকার সেবার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল যে, এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী যারা সেবার মুল্য পরিশোধ করতে অপারগ তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রায় দুই দশকের সময়কালে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কাউকে সেবামুল্য দিতে না পারার কারনে ফেরত দেয়া হয়নি। এ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি যা ২০২২ সালে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল নামে নামকরণ করা হয় তা কম খরচে উঁচু মানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা রোগী বাড়ানোর জন্য কোন মার্কেটিং করি না, চিকিৎসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট রোগীরাই আমাদের রোগী নিয়ে আসেন।

যদিও হাসপাতালটি তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং স্বনামধন্য চিকিৎসা পেশাদারদের দ্বারা সমর্থিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত, তবুও আমরা সারাদেশে প্রচলিত চিকিৎসা সেবার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এরকম একটি উদাহরণ হল শুধু আমাদের হাসপাতালেই নয়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার অন্যান্য ছয়টি প্রধান প্রসূতি ইউনিটেও অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন কমানোর জন্য আমাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা। আমরা বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) এর ট্রাস্টি বোর্ডে আমাদের দুজন পরিচালকের সাথে বুকের দুধ খাওয়ানোর আন্দোলনের অগ্রগামীতেও রয়েছি।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল-এ জন-কেন্দ্রিক পরিষেবার মূল উপাদান হল আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং ব্যবস্থাপনাগত ইনপুট আকারে মানব কল্যাণের জন্য ব্যক্তিগত সম্পদ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যের আন্তরিকতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন

‘শুধুমাত্র আল্লাহ তা'য়ালাকে খুশি করার জন্যই ব্যয় করো’.

আরো দেখুন
সম্মানিত সিইও মহোদয়ের বাণী

ডাঃ দবির উদ্দিন আহমেদ

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল অত্র এলাকার সকল মূল্যবান সেবা গ্রহণকারীদের কাছে একটি স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। খুবই কম খরচে সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য আমাদের রয়েছে অত্যন্ত দক্ষ, নিবেদিতপ্রাণ ও সহানুভূতিশীল চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী দল। এই জনহিতকর অলাভজনক হাসপাতালে আপনার অব্যাহত সমর্থনের জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আপনাদের উদারতা আমাদেরকে অত্র হাসপাতালে সেবা গ্রহণকারীদের অর্থ প্রদানের সক্ষমতা নির্বিশেষে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সুযোগ করে দেয়।

এ রকম একটি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা সর্বদা ব্যতিক্রমী স্বাস্থসেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্যসেবা চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল চিকিৎসাকর্মীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য আমি আপনাদেরকে আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আশুলিয়া নারী ও ‍শিশু হাসপাতালে আগত রোগীদের বেশী বেশী করে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান দৈনন্দিন অপারেশনাল খরচ মেটাতে আপনাদের উদার সমর্থন প্রয়োজন।

তাই যখনই আপনি বা আপনার প্রিয়জনের জন্য হাসপাতাল সেবা প্রয়োজন, আপনি আমাদের উপর নির্ভর করতে পারেন। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি, আমরা বর্তমানে, ভবিষ্যতে অত্র কমিউনিটির স্বাস্থ্য পরিচর্যার চাহিদা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, “রোগী-ই আমাদের কাছে সর্বদা অগ্রগণ্য” - নীতিতে এ হাসপাতাল সর্বদা পরিচালিত হয়।

আরো দেখুন
bn_BDBN